এইচ. এম নুর আলম
স্বপ্নভঙ্গ
স্বপ্ন সেতো স্বপ্নই থাকে, কিছু স্বপন হয়না সাচা
কিছু স্বপন দেখতে নারি, হয়না কভু যায়না যাচা।
দুখী লোকের স্বপন শুধু, রাস্তাঘাটেই উল্টে যায়
তাদের মধুর চিন্তাটুকুও, না যায় কভু পাল্টে বায়।
ধনী লোকের দূরের স্বপন, পূর্ণ করে টাকার ঝালে
গরীব লোকে তখন কেবল, রয় পড়ে রয় পায়ের মলে।
কিছু স্বপন যায়না কেনা, জুটে কেবল পরিশ্রমে
ধনী-গরীব ভেদ করেনা, আপন কর্ম পরিভ্রমে।
বাবা-মায়ে দেখে স্বপন, দেখে সমাজ স্বপ্ন যে
সেই ছেলেটা হবে বড়, এই গাঁয়েরই রত্ন যে।
কিন্তু টাকা নেই যে তাদের, পড়াবে ভালো স্কুলে
নুন আনতেই পান্তা ফুরায়, ক্ষুৎ-পিপাসার যাঁতকলে।
বুকের মানিক হবে বড়, হবে জাতির গর্ব সে
কিন্তু মা’যে সইযে নারি, হয় যে স্বপন খর্ব সে।
ক্ষুধার জ্বালায় কাগজ টোকায়,তারে সবাই টোকাই কয়
তারও আছে বাঁচার স্বপন, কিন্তু পথেই পড়ে রয়।
সইতে নারি ক্ষুধার পীড়ন, সন্তানে মা বেঁচে হায়!
সেই সমাজে স্বপ্ন বলে, আর কিছু কি বেঁচে রয়?
ক্ষুধার রাজ্যে স্বপন যদি,একটি শুধু চাকরি হয়
হবেই তো ‘ফাইট’ এরি তরে, ঘুষ-বাণিজ্য খুলবে তয়।
চাকুরি এখন ব্যবসার ফাঁদ, ব্যাংক ড্রাফের নির্যাতন
নিয়োগ আগেই যায় যে হয়ে, ভাইভা শুধু প্রদর্শন।
লাখ লাখ তার যাচ্ছে টাকা, হয়না চাকরি ত্রি-বছরেও
আসতে-যেতে পরীক্ষাতেই, কাটছে জীবন ভাদরেও।
নাই যে সমান পদগুলো তার, শিক্ষতি সব বেকারের
তবুও ছুটছে হন্যে হয়ে, একটি চাকুরি যোগাড়ের।
হু হু করে বাড়ছে বেকার, প্রতি বছর দ্বিগুণ হারে
চাকরি তরে হতাশ হয়ে, মরছে তারে যাতন-ভারে।
সুযোগ বুঝে লুটছে সকল, ব্যাংক-চাকুরির প্রতিষ্ঠান
দুখিনী মা’র সোনার স্বপন, প্রকাশ্যে হয় বলিদান!
দুর্নীতিরই এই সে ট্রেডে, স্বপ্ন কি ভাই সত্য হয়?
হিয়ার মাঝে রক্ত জমে, স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন রয়—–।